A large part of the words used in the Bengali language is certified words. These words are formed as a result of the combination of Prakriti with Pratyaya. To gain a detailed knowledge of these newly formed words, one must have a clear idea of their Prakriti and Pratyaya. An easy technique to remember Prakriti and Pratyaya.
In many competitive exams, like BCS preparation, Primary Assistant Teacher Recruitment Examination, and numerous varsity examinations, questions from Prakriti and Pratyaya constantly appear. To obtain a good understanding of this, read the post carefully.
✔️প্রকৃতি ও প্রত্যয়: বাংলা ব্যাকরণ এ প্রকৃতি ও প্রত্যয় খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। ব্যাংক জব, বিসিএস পরীক্ষা সহ বিভিন্ন সরকারি চাকরিতে প্রকৃতি এবং প্রত্যয় থেকে একটি প্রশ্ন থাকে। আবার অনেকেই প্রকৃতি, প্রত্যয় ভালো পারে না। অনেকেই প্রশ্ন করেন প্রকৃতি, প্রত্যয় শেখার সহজ উপায় কি। তাই আজ আমরা প্রকৃতি-প্রত্যয় নির্ণয় করার জন্য কিছু শর্ট টেকনিক বা সূত্র আলোচনা করব। অর্থাৎ প্রকৃতি ও প্রত্যয় মনে রাখার কৌশল সম্পর্কে জানব। যার মাধ্যমে খুব সহজে আপনারা প্রকৃতি, প্রত্যয় নির্ণয় করতে পারবেন।
শর্ট টেকনিক বা সূত্র জানার আগে আমাদের প্রকৃতি ও প্রত্যয় সম্পর্কে সঠিক ধারণা রাখা প্রয়োজন। তাই প্রথমে আমরা প্রকৃতি এবং প্রত্যয় সম্পর্কে জানব। চলুন জেনে আসি, প্রকৃতি কাকে বলে ও প্রত্যয় কাকে বলে?
👉🏽 প্রকৃতি: প্রকৃতি হল শব্দের ক্ষুদ্রতম একক। অর্থাৎ শব্দের মূলকেই প্রকৃতি বলে। সুতরাং নামবাচক শব্দ বা ক্রিয়াবাচক শব্দের মূলকে প্রকৃতি বলে।
👉🏽 প্রত্যয়: প্রকৃতির পরে যে বর্ণ বা বর্ণসমষ্টি যোগে নতুন শব্দ গঠিত হয় সেই বর্ণ বা বর্ণ সমষ্টিকে প্রত্যয় বলে।
যেমন- শীত + ল = শীতল, চল্+ অন্ত = চলন্ত।
এখানে শীত ও চল্ দুটি প্রকৃতি এবং ল ও অন্ত দুটি প্রত্যয় আর শীতল ও চলন্ত দুটি প্রত্যয়ান্ত শব্দ।
👉🏽 শ্রেণিবিভাগ:
প্রকৃতি দুই প্রকার। যথা- (১) নাম প্রকৃতি ও (২) ক্রিয়া প্রকৃতি।
নাম প্রকৃতি:- নামবাচক শব্দের মূলকে নাম প্রকৃতি।
ক্রিয়া প্রকৃতি:- ক্রিয়াবাচক শব্দের মূলকে ক্রিয়া প্রকৃতি বলে।
👉🏽 প্রত্যয়ও দুই প্রকার, যথা–
✔️ তদ্ধিত প্রত্যয়: নাম প্রকৃতির পরে যে প্রত্যয় যুক্ত হয় তাকে তদ্ধিত প্রত্যয় বলে। প্রত্যয় চিনতে হয় প্রকৃতি দেখে। প্রকৃতি যদি নাম প্রকৃতি হয় তবে প্রত্যয়টি সাধারণত তদ্ধিত প্রত্যয় হবে। যেমন- উপরে ‘শীতল’ শব্দের প্রকৃতি ‘শীত’ একটি নামবাচক শব্দ তাই ‘ল’ তদ্ধিত প্রত্যয়।
✔️ কৃৎ প্রত্যয়: ক্রিয়া প্রকৃতির পরে যে প্রত্যয় যুক্ত হয় তাকে কৃৎ প্রত্যয় বলে। যেমন- উপরের ‘চলন্ত’ শব্দে ‘অন্ত’ একটি কৃৎ প্রত্যয়। কারণ ‘চল্’ ক্রিয়া প্রকৃতি।
👉🏽 উপধা : নাম প্রকৃতি বা ক্রিয়া প্রকৃতির অন্ত্য ধ্বনির আগের ধ্বনিকে উপধা বলে। যেমন- পঠ্ = প+অ+ ঠ্।
👉🏽 ইৎ : প্রত্যয়ান্ত শব্দে প্রত্যয়ের যে অংশ লোপ পায় তাকে ইৎ বলে। যেমন- সাহিত্য + ষ্ণিক = সাহিত্যিক। এখানে ‘ষ্ণ’ একটি ইৎ।
👉🏽 অপশ্রুতি : প্রত্যয় যুক্ত হলে ধাতু বা শব্দের মধ্যে কোনো কোনো ক্ষেত্রে স্বরগত অল্প-বিস্তর পরিবর্তন ঘটে। এই পরিবর্তনকে অপশ্রুতি বলে। অপশ্রুতি তিনভাবে প্রকাশ পায়। যথা- গুণ, বৃদ্ধি, সম্প্রসারণ।
👉🏽 সম্প্রসারণ : এই প্রক্রিয়ায় ব > উ-তে পরিণত হয়।
যেমন- √বচ্ +ক্ত = উক্ত। য > ই-তে পরিণত হয়।
যেমন- যজ্ + তি = ইষ্টি।
র > ঋ-তে পরিণ হয়।
যেমন- গৃহ্ + ত = গৃহীত।
👉🏽 গুণ ও বৃদ্ধি : কোনো কোনো ক্ষেত্রে (কৃৎ) প্রত্যয় যোগ করলে (ক্রিয়া) প্রকৃতির আদিস্বর পরিবর্তিত হয় তাকে গুণ ও বৃদ্ধি বলে।
👉🏽 গুণ:
কী পরিবর্তন হবে | পরিবর্তিত হয়ে কী হবে | উদাহরণ |
ই, ঈ | এ | √চিন্ + আ = চেনা (ই স্থলে এ হলো); √নী + আ = নেওয়া (ঈ স্থলে এ) |
উ, ঊ | ও | √ধু + আ = ধোয়া (উ স্থলে ও) |
ঋ | অর্ | কৃ + তা = কর্তা (ঋ স্থলে অর্) |
👉🏽 বৃদ্ধি: