৪১,৪২ ও ৪৩ তম বিসিএস প্রস্তুতি প্রিলি জন্য বাংলা থেকে বাংলা সাহিত্য ও সাহিত্যের ইতিহাস সম্পকের্ বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।
বাংলা সাহিত্যের যুগবিভাগ
বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস শুরু হয় – চর্যাপদের কাল থেকে। বাংলা সাহিত্যের যুগকে ভাগ করা হয়েছে – ৩ ভাগে।
(ক) প্রাচীন যুগ (৬৫০-১২০০)
(খ) মধ্যযুগ (১২০১-১৮০০)
(গ) আধুনিক যুগ (১৮০১-বর্তমান)
বিসিএস প্রস্তুতি প্রিলি এর জন্য বাংলা সাহিত্য ও সাহিত্যের ইতিহাস
প্রাচীন যুগ
BCS Preparation (বিসিএস প্রস্তুতি প্রিলি)
চর্যাপদ
✅বাংলা সাহিত্যের প্রাচীন যুগের একমাত্র নিদর্শন চর্যাপদ। চর্যাপদের মূল নাম চর্যাচর্যবিনিশ্চয়।
✅চর্যাপদ আবিষ্কৃত হয় – নেপালের রাজদরবার থেকে, ১৯০৭ সালে।
✅চর্যাপদের পুঁথিগুলো বই আকারে প্রকাশ পায় – ১৯১৬ সালে বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদ থেকে।
✅চর্যাপদের পদগুলো রচিত – মাত্রাবৃত্ত ছন্দে।
রচনা কাল
✅ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্র মতে, চর্যাপদের রচনাকাল – ৬৫০-১২০০ খ্রিস্টাব্দ।
✅ড. সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়ের মতে রচনাকাল – ৯৫০-১২০০ খ্রিস্টাব্দ।
চর্যাপদের পদকর্তা ও পদসংখ্যা
✅চর্যাপদের পদকর্তা হিসেবে পাওয়া যায় – মোট ২৩ জন, মতান্তরে ২৪ জনের পরিচয়।
✅চর্যাপদকর্তাদের নামের শেষে যোগ করা হয়েছে – গৌরবসূচক ‘পা’ (পদ রচনার জন্য)।
✅চর্যাপদের সবচেয়ে বেশি পদের রচয়িতা – কাহ্নপা।
✅চর্যাপদের আধুনিকতম পদকর্তা – সরহপা অথবা ভুসুকুপা।
✅চর্যাপদের প্রথম পদটির রচয়িতা – লুইপা।
✅ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্র মতে চর্যাপদের পদ রয়েছে – ৫০টি। প্রাপ্ত পদ সাড়ে ছেচল্লিশটি (৪৬.৫টি)।
✅চর্যাপদের যেসব পদ পাওয়া যায়নি – ২৩ নং খন্ড, ২৪, ২৫ ও ৪৮ নং পদ।
✅চর্যার অনেকগুলো পদ মূলত – গানের সংকলন।
চর্যাপদের ভাষা
✅চর্যাপদের ভাষাকে সন্ধ্যা ভাষা বা সান্ধ্য ভাষা বলে। চর্যাপদের কবিতাগুলো লেখা মাত্রাবৃত্ত ছন্দে।
চর্যাপদের বাঙালি কবি
✅চর্যাপদের প্রাচীন কবি শবরপা ছিলেন – বাঙালি।
✅বেশিরভাগ পণ্ডিতগণের মতে – ভুসুকুপাকে বাঙালি কবি বলে গণ্য করা হয়।
✅প্রথম বাঙালি কবি হিসেবে পূর্ণাঙ্গ পদ রচনা করেন – লুইপা।
মধ্য যুগ
বিসিএস প্রস্তুতি প্রিলি
✅বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে মধ্যযুগ ধরা হয় – ১২০১-১৮০০ খ্রিস্টাব্দকে। তেমন কোনো উল্লেখযোগ্য সাহিত্যকর্ম সৃষ্টি না হওয়ায় মধ্যযুগের প্রথম ১৫০ বছরকে (১২০১-১৩৫০ সাল) বলা হয়- অন্ধকার যুগ।
✅বাংলা সাহিত্যে অন্ধকার যুগ শুরু হয় – বখতিয়ার খলজির বাংলা বিজয়ের মধ্য দিয়ে।
✅মধ্যযুগের কাব্যধারার প্রধান ধারা – ৪টি। যথা-
(ক) মঙ্গলকাব্য (খ) বৈষ্ণব পদাবলী (গ) রোমান্সধর্মী প্রণয়োপাখ্যান (ঘ) অনুবাদ সাহিত্য।
✅মধ্যযুগের আদি নির্দশন – শ্রীকৃষ্ণকীর্তন।
✅মধ্যযুগের মুসলমান সাহিত্যিকদের কৃতিত্ব – রোমান্টিক প্রণয়োপাখ্যান রচনা।
✅মধ্যযুগের সাহিত্যধারা বিভক্ত – ৩ ভাগে।
(i) প্রাক-চৈতন্যযুগ (১২০১-১৫০০) (ii) চৈতন্যযুগ (১৫০১-১৬০০) (iii) চৈতন্য পরবর্তী যুগ ১৬০১-১৮০০)।
✅মধ্যযুগের প্রধান মুসলিম কবি – দৌলত কাজী ও আলাওল।
✅মধ্যযুগের শেষ কবি – ভারতচন্দ্র রায়গুণাকর।
✅অন্ধকার যুগের উল্লেখযোগ্য সাহিত্যকর্ম রামাই পণ্ডিতের ‘শূন্যপুরাণ’ হলায়ূধ মিশ্রের ‘সেক শুভোদয়া’।
শ্রীকৃষ্ণকীর্তন
✅বড়ু-চণ্ডিদাস রচিত মধ্যযুগের প্রথম কাব্য – শ্রীকৃষ্ণকীর্তন।
✅‘শ্রীকৃষ্ণকীর্তন’ কাব্যে খণ্ড- আছে – ১৩টি।
✅‘শ্রীকৃষ্ণকীর্তন’ কাব্যের প্রধান চরিত্র – কৃষ্ণ, রাধা ও বড়াই।
✅‘শ্রীকৃষ্ণকীর্তন’ কাব্যের বড়াই – রাধাকৃষ্ণের প্রেমের দূতি।
✅‘শ্রীকৃষ্ণকীর্তন’ কাব্যটি উদ্ধার করেন – বসন্তরঞ্জন রায় বিদ্বদ্বল্লভ (১৯০৯ সালে)।
✅পশ্চিম বঙ্গের বাঁকুড়া জেলার কাঁকিল্যা গ্রামের দেবেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় নামক এক ব্রাহ্মণের বাড়ির গোয়াল ঘর থেকে -বসন্তরঞ্জন রায় বিদ্বদ্বল্লভ এ কাব্যটি উদ্ধার করেন।
✅এই কাব্যটি বসন্তরঞ্জন রায়ের সম্পাদনায় ১৯১৬ সালে প্রকাশিত হয় – বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদ থেকে।
বৈষ্ণব পদাবলী
✅মধ্যযুগের বাংলা সাহিত্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ সম্পদ – বৈষ্ণব পদাবলী।
✅বাংলা ভাষায় বৈষ্ণব পদাবলীর আদি রচয়িতা – চণ্ডীদাস।
✅বৈষ্ণব পদাবলীর মহাকবি বলা হয় – বিদ্যাপতি, চণ্ডীদাস, জ্ঞানদাস, গোবিন্দদাস, বলরাম দাস প্রমুখকে।
✅বৈষ্ণব পদাবলীর অধিকাংশ পদ রচিত – ব্রজবুলি ভাষায়।
✅ব্রজবুলি ভাষা হলো – একটি কৃত্রিম ভাষা (বাংলা ও মৈথিলী ভাষার সংমিশ্রণে তৈরি)।
মঙ্গল কাব্য
✅বাংলা সাহিত্যের মধ্যযুগে বিশেষ এক শ্রেণির ধর্মবিষয়ক আখ্যান কাব্যই হলো – মঙ্গলকাব্য।
✅মঙ্গলকাব্যের মূল উপজীব্য – দেবদেবীর গুণগান।
মনসামঙ্গল
✅বাংলা সাহিত্যে মঙ্গলকাব্য ধারার প্রাচীনতম ধারা – মনসামঙ্গল।
✅মনসামঙ্গলের আদিকবি – কানাহরিদত্ত।
✅মনসামঙ্গল কাব্যের অপর নাম – পদ্মপুরাণ।
চণ্ডীমঙ্গল
✅চণ্ডীমঙ্গলের আদি কবি – মানিক দত্ত।
✅মুকুন্দরাম চক্রবর্তীর উপাধি – কবিকঙ্কন।
✅চণ্ডীমঙ্গল কাব্যের প্রধান চরিত্র কালকেতু।
✅চণ্ডীমঙ্গল কাব্য রচিত – চণ্ডীদেবীর কাহিনী অবলম্বনে।
✅কবি মুকুন্দরামের সবচেয়ে জনপ্রিয় কাহিনী কাব্য – কালকেতু উপাখ্যান।
✅বাংলা সাহিত্যের প্রথম ঠগ চরিত্র – ভাড়ু-দত্ত।
অন্নদামঙ্গল
✅দেবী অন্নদার বন্দনা আছে – অন্নদামঙ্গল কাব্যে।
✅অন্নদামঙ্গল ধারার প্রধান কবি – ভারতচন্দ্র রায়।
✅ভারতচন্দ্রের উপাধি – রায়গুণাকর।
ধর্মমঙ্গল কাব্য
✅ধর্ম ঠাকুরের মাহাত্ম্য প্রচারের জন্য সূত্রপাত হয়েছে – ধর্মমঙ্গল কাব্যের।
✅ধর্মমঙ্গল কাব্যধারার প্রথম কবি – ময়ূরভূট্ট।
কালিকামঙ্গল কাব্য
✅দেবী কালীর মাহাত্ম্য বর্ণনামূলক গ্রন্থ – কালিকামঙ্গল।
✅কালিকামঙ্গলের আদি কবি – কবি কঙ্ক।
মর্সিয়া সাহিত্য
✅মর্সিয়া শব্দের অর্থ – শোক প্রকাশ করা।
✅দুই জন উল্লেখযোগ্য মর্সিয়া সাহিত্য রচনাকারীর নাম- দৌলত উজির বাহরাম খান ও শেখ ফয়জুল্লাহ।
✅জঙ্গনামা কাব্য রচনা করেছিলেন – দৌলত উজির বাহরাম খান।
নাথ সাহিত্য
✅মধ্যযুগে রচিত শিব উপাসক এক শ্রেণির ধর্মপ্রচারকারী সাহিত্য – নাথ সাহিত্য।
✅নাথ সাহিত্যের উল্লেখযোগ্য রচনা – গোরক্ষ বিজয়।
✅গোরক্ষ বিজয়ের রচয়িতা – শেখ ফয়জুল্লাহ।
অনুবাদ সাহিত্য
✅বাংলা সাহিত্যের মধ্যযুগে কবিরা হাত দিয়েছিলেন- অনুবাদ সাহিত্যে।
✅পৃথিবীতে জাত মহাকাব্য – ৪টি। যথা- রামায়ণ, মহাভারত, ইলিয়াড ও ওডেসি।
মহাভারত
✅মহাভারত রচিত – সংস্কৃত ভাষায়।
✅মহাভারত যে কয় খণ্ডে রচিত হয় – ১৮ খণ্ডে।
✅মহাভারতের শ্লোক সংখ্যা – ৮৫০০০।
✅মহাভারত প্রথম বাংলায় অনুবাদ করেন – কবীন্দ্র পরমেশ্বর।
রামায়ণ
✅রামায়ণ লিখেন – বাল্মীকি।
✅বাল্মীকির মূল নাম – রত্নাকর দস্যু।
✅‘বাল্মীকি’ অর্থ – উইপোকার ঢিবি।
✅রামায়ণের প্রথম ও শ্রেষ্ঠ অনুবাদক – কবি কৃত্তিবাস ওঝা (পনের শতকের কবি)।
মুসলিম সাহিত্য ও রোমান্টিক প্রণয়োপাখ্যান
✅মধ্যযুগের বাংলা সাহিত্যের মুসলমান কবিদের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য অবদান – রোমান্টিক প্রণয়োপাখ্যান।
✅বাংলা ভাষায় প্রথম মুসলমান কবির নাম – শাহ্ মুহম্মদ সগীর।
✅দৌলত উজিরবাহরাম খাঁন রচিত ‘লায়লী-মজনু’ কাব্য – পারসিয়ান কবি জামি’র ‘লায়লা ওয়া মজনুন’ কাব্যের ভাবানুবাদ।
আরাকান (রোসাঙ্গ) রাজসভায় বাংলা সাহিত্য
✅আরাকান রাজসভার প্রথম বাঙালি কবি – দৌলত কাজী।
✅আরাকান রাজসভার উল্লেখযোগ্য কবি – আলাওল, দৌলত কাজী কোরেশী, মাগন ঠাকুর।
লোকসাহিত্য ও মৈমনসিংহ গীতিকা
✅গাঁথা, কাহিনী, গান, ছড়া, প্রবাদ – লোকসাহিত্যের আওতাভুক্ত।
✅লোকসাহিত্যের প্রাচীনতম নির্দশন – ছড়া/প্রবচন ও ধাঁধা
✅ড. দীনেশচন্দ্র সেনের আগ্রহে ও স্যার আশুতোষ মুখোপাধ্যায়ের পৃষ্ঠপোষকতায় গীতিকাগুলো সংগ্রহ করেন- চন্দ্রকুমার দে।
✅ঠাকুরমার ঝুলি, ঠাকুরদাদার ঝুলি প্রভৃতি রূপকথার বই সম্পাদনা করেন – দক্ষিণারঞ্জন মিত্র মজুমদার।
✅Ballad অর্থ – গীতিকা।
✅মৈমনসিংহ গীতিকা সম্পাদনা করেন – ড. দীনেশচন্দ্র সেন।
শায়ের – কবিওয়ালা ও পুঁথি সাহিত্য
✅কবিওয়ালাদের মধ্যে প্রাচীন কবি – গোঁজলা গুই।
✅দোভাষী পুঁথি সাহিত্যের প্রথম ও সার্থক কবি – ফকির গরীবুল্লাহ্ , সৈয়দ হামজা, মোহাম্মদ দানেশ।
✅বাংলা টপ্পা গানের জনক – রামনিধি গুপ্ত।
✅‘নানান দেশের নানান ভাষা, বিনে স্বদেশি ভাষা, পুরে কি আশা?’- পঙ্গক্তিটি রচনা করেন – রামনিধি গুপ্ত।
✅পুঁথি সাহিত্যের প্রাচীনতম লেখক – সৈয়দ হামজা।
আধুনিক যুগ
বিসিএস প্রস্তুতি প্রিলি
✅আধুনিক যুগের সময়কাল – ১৮০১-বর্তমান।
✅বাংলা গদ্যের চর্চা শুরু হয় – আধুনিক যুগের প্রথম পর্যায়ে।
✅আধুনিক যুগে মহাকাব্যের ধারা প্রবর্তন করেন – মাইকেল মধুসূদন দত্ত।
বাংলা গদ্যের প্রাথমিক পর্যায়
✅বাংলা ভাষার প্রথম গদ্য লেখক – পর্তুগিজ পাদ্রি মনোএল দা আসসুম্পসাঁও।
ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ ও বাংলা গদ্য
✅ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ প্রতিষ্ঠিত হয় – ১৮০০ সালের ৪ মে।
✅ফোর্ট উইলিয়াম কলেজে বাংলা বিভাগ খোলা হয় – ১৮০১ সালে।
✅বাংলা ভাষায় মুদ্রিত প্রথম গ্রন্থের নাম – কথোপকথন (১৮০১)।
✅বত্রিশ সিংহাসন-এর রচয়িতা – মৃত্যুঞ্জয় বিদ্যালঙ্কর।
✅বাংলা গদ্য সাহিত্য বিকাশে বিশেষ অবদান রয়েছে – ফোর্ট উইলিয়াম কলেজের।
✅ফোর্ট উইলিয়াম কলেজে বাংলা বিভাগের প্রধান অধ্যক্ষ ছিলেন – উইলিয়াম কেরি।
শ্রীরামপুর মিশন ও ছাপাখানা
✅শ্রীরামপুর মিশন প্রতিষ্ঠিত হয় – ১৮০০ খ্রিস্টাব্দে।
✅১৮১৮ খ্রিস্টাব্দে এই মিশন থেকে যে দুটি পত্রিকা প্রকাশিত হয়- ‘দিগদর্শন, ও ‘সমাচার দর্পণ’।
✅উপমহাদেশে প্রথম ছাপাখানা প্রতিষ্ঠিত হয় – ১৪৯৮ সালে।
✅ঢাকায় প্রথম ছাপাখানা প্রতিষ্ঠিত হয় – ১৮৬০ সালে (‘বাংলা প্রেস’; ১৮৬০ সালে মুদ্রিত দীনবন্ধু মিত্রের ‘নীলদর্পণ’ ঢাকা থেকে প্রকাশিত প্রথম গ্রন্থ)।
হিন্দু কলেজ ও ইয়ংবেঙ্গল
✅হিন্দু কলেজ প্রতিষ্ঠিত হয় – ১৮১৭ সালে।
✅‘ইয়ংবেঙ্গল’ বলতে বুঝায় – ইংরেজি ভাবধারাপুষ্ট বাঙালি যুবক।
✅‘ইয়ংবেঙ্গল’ এর মন্ত্রগুরু – হেনরি লুই ভিভিয়ান ডিরোজিও।
✅‘ইয়ংবেঙ্গল’ আত্মপ্রকাশ করে – ১৮৩১ সালে।
মোহামেডান লিটারেরি সোসাইটি
✅মোহামেডান লিটারেরি সোসাইটি প্রতিষ্ঠিত হয় – ১৮৬৩ সালে।
✅মোহামেডান লিটারেরি সোসাইটি প্রতিষ্ঠা করেন – আবদুল লতিফ।
বঙ্গীয় মুসলমান সাহিত্য সমাজ
✅‘বঙ্গীয় মুসলমান সাহিত্য সমাজ’ প্রতিষ্ঠিত হয় – ১৯১১ সালে।
✅‘বঙ্গীয় মুসলমান সাহিত্য সমাজ’-এর প্রথম সম্পাদক – ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্।
ঢাকা মুসলিম সাহিত্য সমাজ
✅‘ঢাকা মুসলিম সাহিত্য সমাজ’ প্রতিষ্ঠিত হয় – ১৯২৬ সালে।
✅‘ঢাকা মুসলিম সাহিত্য সমাজ’ এর মাধ্যমে সূত্রপাত হয় – ‘বুদ্ধির মুক্তি’ আন্দোলন।
✅ঢাকা মুসলিম সাহিত্য সমাজের মুখপত্র – ‘শিখা’ পত্রিকা।
✅‘শিখা’ পত্রিকার স্লোগান ছিল – ‘জ্ঞান যেখানে সীমাবদ্ধ, বুদ্ধি যেখানে আড়ষ্ট, মুক্তি সেখাবে অসম্ভব’।
✅‘শিখা’ পত্রিকা প্রকাশিত হয় – ১৯২৭ সালে।
বাংলা একাডেমি
✅বাংলা ভাষা বিষয়ক বৃহৎ গবেষণা প্রতিষ্ঠান – বাংলা একাডেমি।
✅বাংলা একাডেমি প্রতিষ্ঠিত হয় – ১৯৫৫ সালের ৩ ডিসেম্বর।
✅যে প্রেক্ষাপটে ‘বাংলা একাডেমি’ প্রতিষ্ঠিত হয়- ভাষা আন্দোলন।
✅বাংলা একাডেমি ভবনের পুরাতন নাম – বর্ধমান হাউস।
বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি
✅এশিয়াটিক সোসাইটি প্রতিষ্ঠিত হয় – ১৭৪৮ সালে।
✅এশিয়াটিক সোসাইটি’র প্রতিষ্ঠাতা – স্যার উইলিয়াম জোন্স।
✅‘বাংলাপিডিয়া’ প্রকাশিত হয় – ২০০৩ সালে।
পত্রিকা, সাময়িকী ও সম্পাদক
✅ভারতবর্ষের প্রথম মুদ্রিত সংবাদপত্র – ‘বেঙ্গল গেজেট’ (ইংরেজি এ সাময়িকপত্রটি জেমস অগাস্টাস হিকি কর্তৃক ১৭৮০ খ্রিস্টাব্দে প্রকাশিত হয়)।
✅শ্রীরামপুর মিশন থেকে ১৮১৮-তে ‘সমাচার দর্পণ’ নামক একটি সাপ্তাহিক পত্রিকা বের হয়, যার সম্পাদক ছিলেন – জন ক্লার্ক মার্শম্যান।
উপন্যাস
✅লেখকের জীবনদর্শন ও জীবনানুভূতিকে বাস্তবকাহিনী অবলম্বনে শিল্পকর্মে রূপায়ণই উপন্যাস।
✅বাংলা উপন্যাস রচনার সূচনা – উনিশ শতকের প্রথমার্ধে।
✅বাংলা সাহিত্যের প্রথম সার্থক ঔপন্যাসিক – বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়।
বাংলা নাটকের উৎপত্তি ও ক্রমবিকাশ
✅বাংলা নাটক প্রথম মঞ্চে অভিনীত হয় – ১৮৫৭ সালে।
✅বাংলা ভাষার প্রথম মৌলিক নাটক তারাচরণ সিকদার রচিত – ‘ভদ্রার্জুন’ (১৮৫২) [এটি বাঙালি কর্তৃক রচিত প্রথম নাটক]।
✅বাংলা ভাষার প্রথম সার্থক ও আধুনিক নাটক – শর্মিষ্ঠা (১৮৫৯) [ মাইকেল মধুসূদন দত্ত]।
✅বাংলা ভাষার প্রথম সার্থক ট্র্যাজেডি নাটক – ‘কৃষ্ণকুমারী’ (১৮৬১)।
✅বাংলা সাহিত্য প্রথম মুসলিম নাট্যকার রচিত নাটক – ‘বসন্ত কুমারী’ (১৮৭৩) [রচয়িতা- মীর মশারফ হোসেন]।
✅ঢাকা থেকে প্রকাশিত প্রথম নাটক – নীলদর্পণ (১৮৬০) [রচয়িতা- দীনবন্ধু মিত্র]।
✅প্রহসনমূলক নাটক মূলত – হাস্যরস প্রধান।
নাটক সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য
✅মানুষের সুখ-দুঃখকে অভিনয়ের প্রকাশরীতি হলো – নাটক।
✅নাটকের অপর নাম – দৃশ্যকাব্য।
✅বাংলা ভাষা আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে রচিত হয় – ‘কবর’ নাটক।
✅মাইকেল মধুসূদন রচিত সর্বশ্রেষ্ঠ নাটক – কৃষ্ণকুমারী।
প্রবন্ধের উদ্ভব ও ক্রমবিকাশ
✅প্রবন্ধ বলতে বুঝায় – কোনো বিষয়ের ওপর বুদ্ধিভিত্তিক আলোচনা।
✅প্রথম সমাজসংস্কারমূলক প্রবন্ধ রচয়িতা – ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর।
✅বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের বিখ্যাত ব্যঙ্গরসাত্মক রচনা – কমলাকান্তের দপ্তর (১৮৭৫)।
আধুনিক কাব্যধারা সম্পর্কিত তথ্য–
✅আধুনিক যুগের বাংলা সাহিত্যের প্রথম কাব্য – ‘পদ্মিনী উপাখ্যান’ (১৮৫৮)।
✅আধুনিক বাংলা গীতিকাব্যের প্রথম ও প্রধান কবি – বিহারীলাল চক্রবর্তী। তাঁর রচনাসমূহ- বঙ্গসুন্দরী (১৮৭০); সারদামঙ্গল (১৮৭৯); সাধের আসন (১৮৮৯)।
✅বাংলা সাহিত্যের বিদ্রোহ প্রধান কাব্য – অগ্নিবীণা (নজরুল রচিত)।
✅বাংলা সাহিত্যের প্রথম পত্রকাব্য – বীরাঙ্গনা কাব্য (মাইকেল মধুসূদন দত্ত)।
বাংলা কবিতা
✅কবিতা বলতে বুঝায় – ভাবনার ছন্দময় প্রকাশ।
✅বাংলা সাহিত্যের প্রাচীনতম ধারা – কবিতা।
✅বাংলা সাহিত্যে যুগসন্ধিক্ষণের কবি – ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত।
✅আধুনিক বাংলা সাহিত্যের প্রথম মহিলা কবি – স্বর্ণ কুমারী দেবী।
আধুনিক বাংলা কবিতা
✅আধুনিক বাংলা সাহিত্যের প্রথম বিদ্রোহী কবি – মাইকেল মধুসূদন দত্ত।
মহাকাব্য
✅বাংলা সাহিত্যের প্রথম ও শ্রেষ্ঠ মহাকাব্য – মেঘনাদবধ (১৮৬১); রচয়িতা – মাইকেল মধুসূদন দত্ত।
✅প্রাচ্য ও পাশ্চাত্যের প্রভাবে রচিত ‘মেঘনাদবধ’ কাব্যের কাহিনীর উৎস – রামায়ণ।
✅পানিপথের তৃতীয় যুদ্ধের কাহিনী নিয়ে রচিতা মহাকাব্য – মহাশ্মশান (রচয়িতা- কায়কোবাদ)
ছোটগল্প
✅ছোটগল্প বলতে বুঝায় – স্বল্প ভাষায় ও স্বল্প পরিসরে জীবনের খণ্ডাংশের বর্ণনা।
✅বাংলা সাহিত্যের শ্রেষ্ঠ ফসল – ছোটগল্প।
✅বাংলা সাহিত্যের কনিষ্ঠতম শাখা – ছোটগল্প।
✅বাংলা ছোটগল্প উৎকর্ষ লাভ করে – রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের হাতে।
✅বাংলা সাহিত্যের সার্থক ছোটগল্পকার – রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।
✅বাংলা ছোটগল্পের জনক বলা হয় – রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে।