বিসিএস পরীক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ অংশ হলো সাধারণ বিজ্ঞান। সাধারণ বিজ্ঞান থেকে প্রতিটি বিসিএস ১০ থেকে ১৫ নম্বর এসে থাকে। বিগত ১০ম থেকে ৪০ তম বিসিএসের সকল সাধারণ বিজ্ঞান প্রশ্ন ও সমাধান একসাথে ধাপে ধাপে প্রদান করা হলো 10th-40th BCS MCQ Full Question Solution. আপনাদের বোঝার সুবিধাথের্ ব্যাখ্যা সহ প্রদান করা হলো। আশাকরি উপকৃত হবেন।
৪০ তম বিসিএস প্রিলিমিনারি টেস্ট
১। সমবৃষ্টিপাত সম্পন্ন স্থানসমূহকে যোগকারী রেখাকে বলা হয়-
(ক) আইসোথার্ম
(খ) আইসোবার
(গ) আইসোহাইট
(ঘ) আইসোহেলাইন
উত্তরঃ (গ) আইসোহাইট।
ব্যাখ্যাঃ সমবৃষ্টিপাত সম্পন্ন স্থানসমূহকে যোগকারী রেখাকে আইসোহাইট (Isohyet) বা সমবর্ষণ রেখা বলে। সমবায়ুমণ্ডলীয় চাপ সম্পন্ন স্থান সমূহকে যোগ করতে ব্যবহৃত রেখার নাম আইসোবার এবং সমতাপ সম্পন্ন স্থান সমূহকে যোগ করতে ব্যবহৃত হয় আইসোথার্ম। অন্যদিক সমুদ্রের বিভিন্ন স্থানের সম লবণাক্ততা নির্দেশ করতে মানচিত্রে ব্যবহৃত রেখার নাম আইসোহেলাইন।
২। 1735Cl মৌলের নিউট্রন সংখ্যা কত?
(ক) 17
(খ) 18
(গ) 35
(ঘ) 70
উত্তরঃ (খ) 18।
ব্যাখ্যাঃ কোনো পরমাণুতে উপস্থিত প্রোটন সংখ্যা (Z) ও নিউটন সংখ্যার (n) যোগফলকে ঐ পরমাণুর ভরসংখ্যা (A) বলে। যেহেতু ভরসংখ্যা হলো প্রোটন সংখ্যা ও নিউট্রন সংখ্যার যোগফল, কাজেই ভরসংখ্যা থেকে প্রোটন সংখ্যা বিয়োগ করলে নিউট্রন সংখ্যা পাওয়া যায়। প্রশ্নানুযায়ী ক্লোরিনের (Cl) ভরসংখ্যা হলো 35, এর প্রোটন সংখ্যা 17, ফলে এর টিউট্রন সংখ্যা হচ্ছে A-Z = 35-17= 18।
৩। কোনো কঠিন পদার্থ বিশুদ্ধ নাকি অবিশুদ্ধ তা কিসের মাধ্যমে নির্ণয় করা যায়?
(ক) ঘনীভবন (খ) বাষ্পীভবন
(গ) গলনাঙ্ক (ঘ) স্ফুটনাঙ্ক
উত্তরঃ (গ) গলনাঙ্ক।
ব্যাখ্যাঃ কঠিন যৌগের বিশুদ্ধতার মানদণ্ড হলো স্থির গলনাঙ্ক, স্থির প্রতিসরাঙ্ক, স্ফটিকাকৃতি ও আপেক্ষিক গুরুত্বের নির্দিষ্ট মান। তরল যৌগের বিশুদ্ধতার মানদণ্ড হলো স্থির স্ফুটনাঙ্ক, স্থির প্রতিসরাঙ্ক ও ঘনত্বের নির্দিষ্ট মান।
৪। অ্যানোডে কোন বিক্রিয়া সম্পন্ন হয়?
(ক) জারণ (খ) বিজারণ
(গ) প্রশমন (ঘ) পানিযোজন
উত্তরঃ (ক) জারণ।
ব্যাখ্যাঃ তড়িৎ বিশ্লেষ্য কোষ ও তড়িৎ রাসায়নিক কোষে যেসব পদার্থ তড়িৎ পরিবহন করে তাদেরকে তড়িৎদ্বার বলে। তড়িৎ বিশ্লেষ্য কোষ ও তড়িৎ রাসায়নিক কোষের গঠনে দুই ধরনের তড়িৎদ্বার দেখা যায়- একটি অ্যানোড ও অপরটি ক্যাথোড। যে তড়িৎদ্বারে জারণ বিক্রিয়া সম্পন্ন হয় তাকে অ্যানোড এবং যে তড়িৎদ্বারে বিজারণ বিক্রিয়া সম্পন্ন হয় তাকে ক্যাথোড বলে।
৫। একটি বাল্বে ‘60 W-220 V’ লেখা আছে। বাল্বটির রোধ কত ওহম (Ohm)?
(ক) 16.36 (খ) 160
(গ) 280 (ঘ) 806.67
উত্তরঃ (ঘ) 806.67।
.
৬। নবায়নযোগ্য জ্বালানির উৎস-
(ক) তেল (খ) গ্যাস
(গ) কয়লা (ঘ) বায়োগ্যাস
উত্তরঃ (ঘ) বায়োগ্যাস।
ব্যাখ্যাঃ যেসব জ্বালানি নানা প্রাকৃতিক উৎস থেকে পাওয়া যায়, যেগুলোর মজুদ ভবিষ্যতে কখনো শেষ হবে না অর্থাৎ বারবার ব্যবহার করা যায় তাদেরকে নাবায়নযোগ্য জ্বালানি বলে। সূর্যরশ্মি, বায়োগ্যাস, পরমাণু শক্তি ইত্যাদি নবায়নযোগ্য জ্বালানি উৎস। স্থিতিশীল টেকসই উন্নয়নের প্রথম শর্ত দূষণহীন বিকল্প শক্তির উৎসের সন্ধান করা।
৭। কার্বোহাইড্রোডে C, Hএবং O – এর অনুপাত কত?
(ক) ১ : ১ : ২ (খ) ১ : ২: ১
(গ) ১ : ৩ : ২ (ঘ) ১ : ৩ : ১
উত্তরঃ (খ) ১: ২: ১।
ব্যাখ্যাঃ কার্বোহাইড্রেট হলো কার্বন, হাইড্রোজেন ও অক্সিজেনের সমন্বয়ে গঠিত এক প্রকার জৈব রাসায়নিক পদার্থ। এতে